পৃথিবী সংবাদ ডেস্ক : : সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীটাই যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশেরও লক্ষ লক্ষ মানুষ। কর্মহীন অভুক্ত মানুষের সহযোগীতায় সরকার সহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন পর্যায়ের বিত্তশালী মানুষ ও প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছেন। কিন্তু মানুষের পাশাপাশি বিভিন্ন পশু ও প্রাণীগুলোও যেন অসহায় হয়ে পড়েছে। দিনের পর দিন অনাহারে থাকলেও মানুষের মতো তারা কারো কাছে গিয়ে খাবার চাইতে পারেনা। পারেনা তাদের পেটের ক্ষুধার যন্ত্রনার কথা প্রকাশ করতে। শুধু পারে চুপে চুপে চোখের পানি ফেলতে আর নিজেদের ভাষায় কান্না করতে যা মানুষের জন্য বোধগম্য নয়। গত কয়েকদিন পূর্বে রাজশাহী চিড়িয়াখানায় অভুক্ত কুকুর ঢুকে হরিণ খেয়ে ফেলার বিরল ঘটনাই প্রমাণ করে কুকুর সহ বিভিন্ন পশু ও প্রাণীর ক্ষুধা ও অসহায়ত্বের কথা।
মানুষের পাশাপাশি এসব অভুক্ত প্রাণীর ক্ষুধা ও অসহায়ত্বের কথা ভেবে বাসার পাশে শিবগঞ্জ বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসরত কুকুর গুলোর জন্য নিজে রান্না করে দিনে অন্তত একবার খাবারের ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক হাবিবুল বারি হাবিব। প্রাণীর প্রতি তাঁর এই করুণার বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিক হাবিবুল বারি হাবিব বলেন, মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতার নিমিত্তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাজারের সকল হোটেল-রেষ্টুরেন্ট বন্ধ এবং বিয়ে ও খাৎনা সহ বিভিন্ন ধর্মীয়-সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানাদি এবং পিকনিক বন্ধ থাকায় গরু-ছাগল জবেহ একেবারেই কমে গেছে, যা অন্তত বাজারে বসবাসরত এসব কুকুর গুলোর খাবারের অন্যতম উৎস ছিল। প্রতিদিন মধ্যরাতে আমি ক্ষুধার্ত এই কুকুর গুলোর কান্নার সুর শুনে এমনকি ক্ষুধার জালায় পুরাতন সেন্ডেল পর্যন্ত চিবাতে দেখে তাদের অসহায়ত্বের কথা বুঝতে পারি এবং খাবারের এই সামান্য ব্যবস্থা টুকু করার চেষ্টা করছি। সময় ও সুযোগ হলে প্রত্যেককেই নিজ নিজ জায়গা থেকে এসব অভুক্ত প্রাণীগুলোর প্রতি খাদ্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবানও জানান হাবিবুল বারি হাবিব।
এর আগেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক জাহিদ হাসান মাহমুদ মিম্পা, কপোত নবী ও আলমগীর হোসেন সহ বিভিন্ন এলাকার শিশু ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে কুকুর সহ বিভিন্ন প্রাণীর জন্য খাদ্য সরবরাহ সহ সদয় হতে দেখা গেছে।