আজ বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০২:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জে আলহেরা মাদ্রাসা পরিদর্শন করলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা «» শিবগঞ্জে সাহাপাড়া আলহেরা জামিয়াতুল ইসলামীয়ার নূরানী ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন «» শিবগঞ্জে প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি এর উদ্যোগে ৫৮ জনের কর্মসংস্থান «» শিবগঞ্জে সাহাপাড়া আলহেরা মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ «» শিবগঞ্জ ফাজিল মাদরাসায় ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদরাসায় অভিভাবক ও সূধী সমাবেশ «» শিবগঞ্জে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা «» ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা জেন্টু মিয়াকে ভ্যান কিনে দিলেন ইউএনও «» শিবগঞ্জে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন «» শেষ বয়সে মসজিদে জমি দিতে বললো বোন,  নিজের নামে লিখে নিল ভাই, বৃদ্ধার আর্তনাদ

শিবগঞ্জে ভেজাল মেশানো খাবার খেয়ে শতাধিক হাঁসের বাচ্চার মৃত্যুর অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জের একটি হাঁসের খামারে ভেজাল মেশানো খাবার খেয়ে শতাধিক হাঁসের বাচ্চা মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিবগঞ্জ পৌর এলাকার বেকি মোড়ের ফারুক হোসেনের হাঁসের খামারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খামার মালিক ফারুক হোসেন জানান, আমি কয়েকদিন আগে কানসাট বাসস্ট্যান্ড এলাকার উমর ফারুক ট্রেডার্স থেকে হাঁসের খাবার হিসেবে ১,৪০০ টাকা দরে এক বস্তা ভাঙা ভুট্টা নিয়ে এসে খামারের হাঁসের বাচ্চাকে খাওয়ালে কিছুক্ষন পর থেকেই কয়েকটি বাচ্চাকে অসুস্থ দেখতে পাই। প্রথমত বিষয়টিতে গুরুত্ব না দিলেও ক্রমান্বয়ে বাচ্চা গুলোকে মারা যেতে দেখে খাবারের প্রতি সন্দেহ হয়। এরপর খাবারের বস্তা পরীক্ষা করে অনেকগুলো লবণের টুকরো দেখতে পেয়ে স্থানীয় পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করলে তাঁরা প্রাথমিক ভাবে বেশি বেশি পানি খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে বাচ্চা মরার সংখ্যা বাড়তে থাকলে মেসার্স উমর ফারুক ট্রেডার্সে জানালে তারা খাবারের বস্তা ফেরত নিতে চায় এবং ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আশ্বাস দেয়। এখন পর্যন্ত আমার ২ শত হাঁসের বাচ্চার মধ্যে প্রায় ১২০ টিই মারা গেছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মৃত বাচ্চা পরীক্ষা করে অতিরিক্ত লবণ মিশ্রিত খাবার খেয়েই মারা গেছে বলে রিপোর্ট দিয়েছেন। বেশি লাভের আশায় হাঁসের খাবারের সাথে অতিরিক্ত হারে ওজন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে কমদামী লবণ মিশিয়ে যারা ব্যবসা করছে, সেসব অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তি দাবী করছি। এদিকে খাবার বিক্রেতা ফারুক ট্রেডার্সের মালিক উমর ফারুক জানান, আমি ছত্রাজিতপুরের আরিফুল ট্রেডার্স থেকে প্যাকেটজাত খাবার কিনে এনে বিক্রি করেছি, দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে সেই খাবারের বস্তাটি ফেরৎ নিয়ে খাবার প্রস্তুতকারী আরিফুল ট্রেডার্সে জানিয়েছি। খাবার প্রস্তুতকারী ছত্রাজিতপুরের আরিফুল ট্রেডার্সের পরিচালক আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে প্রথমত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করলেও গুদামের ভিতরে থাকা বেশ কিছু লবণের প্যাকেটের বিষয়ে তিনি বলেন আমি মাঝে মধ্যে লবণও বিক্রি করি এবং কিছুদিন আগে ঈঁদুরে লবনের কিছু প্যাকেট কেটে দিলে হাঁসের খাবারের সাথে কিছু লবণ মিশে যায়। শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: রঞ্জিত চন্দ্র সিংহ বলেন, খাদ্য ও মৃত হাঁসের বাচ্চা বাহ্যিকভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি বাচ্চা গুলো অত্যাধিক পরিমাণে লবণ মিশ্রিত ভেজাল খাদ্য খেয়েই মারা গেছে এবং আমি সেই রিপোর্টই প্রদান করেছি।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :