নিউজ ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে । এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে ।
বুধবার ২৬ আগস্ট দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন চলাকালে এ ঘটনা ঘটে । পরে উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে । সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করে শাস্তির দাবি জানান । সংঘর্ষের পর ডাকবাংলোতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ । সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম টুটুল খান জানান, ফেইসবুকে পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে নাদিম হোসেন নামক এক যুবক সহ কয়েকজন মিলে পৌর ছাত্রলীগ কর্মী রহমত আলীকে হুমকি দিতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আমার মমতাময়ী মা কে নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করে যা মুখে উচ্চারন করা অসম্ভব । এরপরই সেইরাতে শিবগঞ্জ স্বর্ণকারপট্টি এলাকার হাসিদুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী হাসিব উদ্দীনকে লাঠিসোটা দিয়ে মেরে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় । এসময় তিনি এমন অপরাধের বিচার দাবী করেন ।
তবে এ ঘটনায় সোমবার রাতে আতিকুল ইসলামের সমর্থকরা নাদিমের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এমনটা দাবি করে বুধবার সকালে মানববন্ধনে মিলিত হয় কারিবুল হক রাজিনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা । এ সময় অপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া করলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে । এর পর পিঠালীতলার নিজ বাড়ীতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন মেয়র কারিবুল হক রাজিন । সেখানে তিনি দাবি করেন, কোন রকম উস্কানি ছাড়া টুটুল খানের সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে । তিনি আরও বলেন, একটি চক্র শান্ত শিবগঞ্জকে অশান্ত করার পাঁয়তারা করছে । তিনি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান। শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে । বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে । তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি । ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।