আজ বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জে আলহেরা মাদ্রাসা পরিদর্শন করলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা «» শিবগঞ্জে সাহাপাড়া আলহেরা জামিয়াতুল ইসলামীয়ার নূরানী ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন «» শিবগঞ্জে প্রজেক্টস ফর হিউম্যানিটি এর উদ্যোগে ৫৮ জনের কর্মসংস্থান «» শিবগঞ্জে সাহাপাড়া আলহেরা মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ «» শিবগঞ্জ ফাজিল মাদরাসায় ৪ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জ ইন্টারন্যাশনাল ক্যাডেট মাদরাসায় অভিভাবক ও সূধী সমাবেশ «» শিবগঞ্জে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা «» ভ্যান হারিয়ে দিশেহারা জেন্টু মিয়াকে ভ্যান কিনে দিলেন ইউএনও «» শিবগঞ্জে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার উদ্বোধন «» শেষ বয়সে মসজিদে জমি দিতে বললো বোন,  নিজের নামে লিখে নিল ভাই, বৃদ্ধার আর্তনাদ

মহারাজপুর ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট : চেয়ারম্যানকে পদে পদে বাধা দিচ্ছেন মর্মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলার সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি । চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের কিছু সদস্যরা এই বাধা প্রদান করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন তিনি ।

গত ৮ জুলাই দাখিল করা ওই অভিযোগে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরক, জালাল উদ্দিন জালাল, সেমাজুল হক, আবুল কালাম আজাদ, আবুল কালাম, ইসরাফিল হক, রুবেল আলী, সংরক্ষিত নারী সদস্য মিলি বেগম ও সুফিয়া বেগম পরিষদের কার্যক্রমে তাকে কোন ধরণের সহায়তা করছেননা।

উল্টো সরকারী কাজে নানান কায়দায় বাধা প্রদান করছেন। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৯ জুন সাড়ে ৭ টন জিআর চাল বরাদ্দ পায় পরিষদ। সেই চাল বিতরণে পরদিন জরুরী সভা আহবান করা হয়। কিন্তু সভায় উপস্থিত না হয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালামের মাধ্যমে এই চাল ভাগবাটোয়ারার প্রস্তাব দেন।সদস্যদের এই প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিনগত রাত ১০টার দিকে চাল লুটের উদ্দেশ্যেে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন জালাল আমার দপ্তরে প্রবেশ করে গুদামের চাবি চান। চাবি দিতে রাজি না হওয়ায় আমার গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেন। ওই সময় ৪ লাখ ২২ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই বুঝিয়ে চান।

তার ওয়ার্ডের পূর্ব শেখপাড়া গোরস্থান উন্নয়ন কাজ নামমাত্র করে এক লাখ টাকা নিয়ে যান। এই সদস্যের বিরুদ্ধে ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ও মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীর কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনেন চেয়ারম্যান। লিখিত অভিযোগে চেয়ারম্যান আরো উল্লেখ করেন, নারী সদস্য মিলি বেগম দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে বিধবা ভাতা উত্তোলন করছেন। তার ভাতা বাহি নম্বর ৩৯৫৩। যা একেবারেই বেআইনী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারী সদস্য মিলি বেগম অপরাধ স্বীকার করে বলেন, স্বামী মৃত তাই তিনি বিধবা ভাতা উত্তোলন করেন।

ইউপি সদস্য ইসরাফিল হক বালুবাগান এলাকার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে জালালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সিসি করণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। চেয়ারম্যানকে না জানিয়েই কাজ তড়িঘড়ি করে সমাপ্ত করেছেন তিনি। চেয়ারম্যানের অভিযোগ , গ্রাম আদালতে উপস্থিত না হয়ে টাকার বিনিময়ে বাইরে শালিস আয়োজন করেন পরিসদের ওই সদস্যরা। এতে ন্যায় বিচার বন্চিত হচ্ছেন বিচার প্রার্থীরা।

এ বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এজাবুল হক বুলি এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে অভিযোগে উল্লিখিত সদস্যগণ আমার সরকারি কাজে বাধা প্রদান করে আসছেন । একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছি । এছাড়াও সচিব ও সদস্য সহ আরো ১৭ জন অভিযোগ দিয়েছেন । আমরা জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনসেবার কাজে বাধা প্রদানকারীদের শাস্তি চাচ্ছি এবং নির্বিঘ্নে আমাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পথ তৈরিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :