নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন সহায় সম্বলহীন রাহেলা বেগম। বাড়ি নেই ঘর নেই, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। যখন যেখানে রাত, তখন সেখানেই বসবাস। নিত্যদিনের এ ঘটনা রাহেলার।
রাহেলা বেগমের বয়স ৫৫ বছর। স্বামী মারা গেছেন প্রায় ২০ বছর আগে। দুই ছেলে কিছুটা প্রতিবন্ধী। থাকে কানসাটে। মাঝে মধ্যে মায়ের খোঁজ করে। একমাত্র মেয়েটির বিয়ে হয়ে গেছে। একা রাহেলা বেগম বাড়িঘর না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার স্বরূপনগরে একটি চায়ের দোকানে সারাদিন টুকিটাকি কাজ করে দিয়ে কোনোরকমে সারাদিনের খাবারটা পান। রাতে সেখানেই শুয়েবসে দিন পার করেন।
রাহেলা বেগমের এমন কাহিনী জেনে জাহাঙ্গীর নামে এক জন ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হকের নজরে আসে বিষয়টি। পরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দকে খোঁজ খবর নিতে বলেন ডিসি।
এরপর জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার দুপুরে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে রাহেলা বেগমকে প্রাথমিক ভাবে ২ সেট শাড়িসহ অন্যান্য পোশাক ও স্যান্ডেল প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাহেলা বেগমকে সরকারি খাস জমিতে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেয়ার আশ্বাস দেন। ঘর পেলেই সন্তানদের নিয়ে তিনি একই সয়ে থাকতে পারবেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল ইসলাম সরকার ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফ জামান আনন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ দিকে ঘর পাবার কথা শুনে রাহেলা বেগম ভীষণ খুশি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা প্রশাসকসহ যারা তাকে এই সহায়তা পাবার জন্য সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে তার ভাষায় কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হকের এহেন মহত কাজের জন্য সমাজের সূধী মহল স্বাধুবাদ জানিয়েছেন। জেলায় ডিসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলছেন নূরুল হক। এরই মধ্যে কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ শ্রেষ্ঠ বিভাগীয় জেলা প্রশাসক নির্বাচিত হন তিনি ।