আজ বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» বোতল হাতে ছবি ভাইরাল, কৃত্রিম ছবি বলে চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ «» সোনামসজিদ স্থলবন্দর ট্রাক পার্কিং এ চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন «» শিবগঞ্জে আলহেরা মাদরাসায় হাফিজা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান «» শিবগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে গভীর রাতে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট «» শিবগঞ্জের নির্মাণাধীন বেইলী ব্রীজ পরিদর্শন করেছেন ড. মাওলানা কেরামত আলী «» ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জে শিবিরের বিশাল গণজমায়েত «» শিবগঞ্জে বৃক্ষ প্রেমিক কার্তিক প্রামানিক ও শান্তি নিবিড় পাঠাগারের যৌথ বৃক্ষরোপন «» “শিবগঞ্জে মসজিদ নির্মাণে বাধা ও কোটি টাকা আত্নসাৎ” শীর্ষক শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ «» শিবগঞ্জে বিএনপি নেতা বেলাল-ই-বাকি ইদ্রিশীর আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত «» শিবগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিল

শ্বশুরকে হত্যার ১বছর পরই শ্বাশুড়িকে হত্যা, জামাইসহ গ্রেপ্তার ৩

পৃথিবী সংবাদ ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব টিকরা গ্রামে রোকেয়া বেগম নামে ষাটোর্ধ্ব এক নারীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তার ৪ সৎমেয়ের স্বামীসহ ৮ জন জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে এক সৎমেয়ের স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভের কারণে পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

১৭ জুন বুধবার বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ সুপারের কর্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সব তথ্য জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বিপিএম পিপিএম(বার)।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ জুন দিবাগত রাতে রোকেয়া বেগমকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৩ জুন পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন। এজাহারে অজ্ঞাতনামাদের অভিযুক্ত করা হয়। এর পরই রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বলেন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইকবাল হোছাইনের নেতৃত্বে সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও রোকেয়া বেগম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিন্টু রহমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন শুরু করেন।

তিনি বলেন, ক্লুলেস এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পশ্চিম টিকরা গ্রামের মৃত লুথু মন্ডলের ছেলে ও নিহত রোকেয়া বেগমের সৎ মেয়ের স্বামী সেকান্দার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৬ জুন রাতে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সেকান্দার আলী পুলিশকে জানায়, একাধিক সহযোগীর সহায়তায় রোকেয়া বেগমকে হত্যা করা হয়। সে আরো জানায় এক বছর আগে ঠিক একই তারিখে তার শ্বশুর শুকুদ্দি মন্ডলকে একই স্থানে হত্যা করে রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। সেকান্দার আলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয় বলে পুলিশ সুপার জানান।

পুলিশ সুপার আরো জানান, এই দুটি হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য হচ্ছে জমি-জায়গার দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যে ক্ষোভ। রোকেয়া বেগমের বাড়িসহ সংলগ্ন বাগানটি চার মেয়ের মধ্যে ভাগ করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেয়ে এবং মেয়ের জামাইরা ওই জমিতে ভোগদখল করতে গেলে রোকেয়া বেগম বাধা প্রদান করতেন। এই ক্ষোভ থেকে আটক করা সেকেন্দার আলী তার সহযোগীদের সহায়তায় রোকেয়া বেগমকে গলা কেটে হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রাখে বলে পুলিশ সুপার জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইকবাল হোছাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) এস.এ.এম.ফজল-ই-খুদা, সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউর রহমান পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কোবির হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (অপারেশন) মিন্টু রহমান, ডিবির অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব বাবুল উদ্দিন সরদার ।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :