আজ শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» কানসাটে চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাচন উপলক্ষে আব্দুল ওয়াহেদ প্যানেলের পরিচিতি সভা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনে হারুন-আনোয়ার-তরিকুল প্যানেলের পরিচিতি সভা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনে আব্দুল ওয়াহেদ প্যানেলের পরিচিতি সভা «» মসজিদের উন্নয়নে সকলের এগিয়ে আসা উচিত -বেলাল-ই-বাকি ইদ্রিশী «» শিবগঞ্জে ফুলকুঁড়ি আসরের আয়োজনে শিশু সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ «» থামছেইনা সাবেক সেনা সদস্য রফিকুলের যৌন অপরাধ, রেহাই পেলনা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীও «» শিবগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন, ঋণ ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ «» ভয়াল ২৮ অক্টোবর উপলক্ষে শাহবাজপুরে জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল «» শিবগঞ্জে ঐতিহাসিক পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে জামায়াতের বিশাল সমাবেশ «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৫২ নারীর মাঝে চেক ও সনদপত্র বিতরণ

ঈদের কথা যেন ভুলেই গেছে দারুল কুরআন মাদরাসায় থাকা দরিদ্র ছাত্ররা

হাবিবুল বারি হাবিব : পবিত্র ঈদুল ফিতর ! মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের একটি। আনন্দ আর খুশিতে ভরা একটি উৎসব। কিন্তু সম্প্রতি মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে নিরস এই পৃথিবীর মানুষ যেন ভুলেই গেছে ঈদের আনন্দের কথা। যার ছোঁয়া লেগেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ মনাকষা রানীনগর দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদরাসায়ও। পরিবারের দারিদ্রতার কারনে মাদরাসায় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের মতো নিয়মিত বাড়ি থেকে পড়ালিখা করতে না পেরে মাদরাসায় প্রদত্ত দানের অর্থেই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা হতো ৭-৮ জন ছাত্রের। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারনে বেশ কিছুদিন থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ধারাবাহিকতায় বন্ধ রয়েছে এই মাদরাসাটিও। আসছেনা কোন বেতন বা দানের অর্থ। এদিকে নিজের অর্থে কিছুদিন তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করলেও সক্ষমতা হারিয়েছেন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো: উসমান গণি। বর্তমানে মাদরাসায় থাকা সেই ৭-৮ জন ছাত্রকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু মাদরাসা থেকে ফিরে যাওয়া ছাত্ররা পরিবারের দারিদ্রতার কারনে দিন কাটাচ্ছে খেয়ে না খেয়ে। জানতে পেরে অত্র মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো: উসমান গনির নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি স্থানীয় ও বাইরের অনেক বিত্তশালী মানুষের সহযোগীতা নিয়ে ২ বছর পূর্বে আমার বাড়ি সংলগ্ন একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছি, বর্তমানে যার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা ৩৫ জন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে সহযোগীতা নিয়ে এসে এই মাদরাসাটির খরচ বহন করে থাকি। পরিবারের দারিদ্রতার কারনে ৭-৮ জন ছাত্র এখানে থেকেই পড়া লিখা করতো। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে মাদরাসার আয়ের উৎস না থাকায় আমি তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। সামনে ঈদ এসেছে, তাদের খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, তারা বর্তমানে খাদ্যসংকটে রয়েছে। এমতাবস্থায় অন্তত সেই কয়েকজন ছাত্রের জন্য সরকারি-বেসরকারি বা স্থানীয় বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে কোন খাদ্য সহযোগীতা পেলে সামনে ঈদুল ফিতরে তারাও সবার সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবে। প্রধান শিক্ষকের যোগাযোগ নম্বর (উসমান গণি) : ০১৭৩৭৬৬৭৩১৫

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :