আগামী ৫ আগস্টের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র নেতাকে দাওয়াত না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুরে বরিশালের গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকার এক অডিটোরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘আগামী ৫ আগস্টের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অডিটোরিয়ামে সভা চলছিল। ওই সভায় আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে আমি দাওয়াত না পেয়েও ওই সভায় যাই। এসময় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান ও তার ভাইয়ের ছেলে জসিম শরীফ আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এতে আমার সমর্থকরা এ ঘটনার প্রতিবাদ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে অডিটোরিয়ামের মধ্যে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরলে আমি আমার সমর্থকদের শান্ত করি। এরইমধ্যে হান্নান শরীফের সমর্থকরা আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দুইজনকে আহত করেছে।’
বদিউজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘অডিটোরিয়ামের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আমার একনিষ্ঠ কর্মী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মো. রমজানকে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একা পেয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হান্নান শরীফের সমর্থকরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
অপরদিকে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফ জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সভা চলাকালে একদল দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে আমার দুইজন কর্মীকে মারধর করেছে।’ তবে এরবেশি তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রদল নেতা জসিম শরীফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে।’