আজ বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত «» শান্তি নিবিড় পাঠাগার পরিদর্শন করলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস «» জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন উপলক্ষে শিবগঞ্জে কেন্দ্রীয় দাওয়াতি মিশন অনুষ্ঠিত «» শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রতিদিনের চাঁপাই’ অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সাদিকুল ইসলামের ১০ হাজার কম্বল বিতরণ «» শিবগঞ্জে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ «» পৃথিবী সংবাদ এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত «» শিবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন : সভাপতি ইউসুফ, সম্পাদক চাঁদ «» শিবগঞ্জে শান্তি নিবিড় পাঠাগারের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণে ব্যস্ত পরিচালক নাহিদুজ্জামান

মেয়ের সম্ভ্রমের মূল্য হলো মাত্র নব্বই হাজার টাকা

নিউজ ডেস্ক : প্রায় ৬ মাসের প্রেমের সম্পর্কে প্রেমিকার অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে প্রেমিক। পরে যুবতীর পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে ফিরিয়ে দেয় মেয়েটির পরিবার। প্রায় দেড় মাস আগে অন্য জায়গায় বিয়েও করে নেয় ছেলেটি। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ক্ষোভে নিজের বিয়ের পরেও সাবেক প্রমিকার অশ্লীল ও অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-ম্যাসেঞ্জারে ফাইরাল করে সাবেক প্রেমিক মহারাজপুর শেখপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে রাব্বি খান।

সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শেখটোলা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

প্রেমিকার ছবি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ৪ ইউপি সদস্যের মাধ্যমে সালিস হয়।

এতে মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. জলিল উদ্দিন জালাল, সেমাজুল হক, মো. আলম ও মো. ইসরাফিল হক কোন আইনি ব্যবস্থা না নিয়েই কিশোরীর পরিবারকে ৯০ হাজার টাকা দিয়ে এর মীমাংশা করে নেয় ।

গত সোমবার রাতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে করা সেই সালিশের পর হতে অভিযুক্ত সাবেক প্রেমিক রাব্বি খান।

একই এলাকার এবছর এসএসসি পাশ করা ১৬ বছর বয়সী ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাব্বির সাথে ওই কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েকদিন আগে কিশোরীর আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয় অটোচালক রাব্বি। এরপর মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পারলে স্থানীয়ভাবে সালীসের মাধ্যমে ছেলের পরিবার ও স্থানীয় ইউপি সদস্যরা ৯০ হাজার টাকায় সমাধান করে দেয় ।

মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যক্ষ এজাজুল হক বুলি বলেন, এবিষয়ে সালিশের ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। সালিশের দিন রাতেই একজন সাংবাদিকের ফোনে জানতে পারি এমন ঘটনা হয়েছে। তবে এমন অপরাধের বিচার করার ক্ষমতা গ্রাম আদালতের নেয়। এই চার ইউপি সদস্য অর্থ নেয়ার জন্য এমন সালিস করে থাকে বলেও জানান তিনি।

এবিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন অভিযোগ হয়নি জানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার-ইন চার্জ (ওসি-তদন্ত) কবীর হোসেন বলেন, এ বিষযয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :