বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ ও মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা আমরণ অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাটকল শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো (জাতীয় মজুরি স্কেল-২০১৫) অনুযায়ী মজুরি স্লিপ (পে-স্লিপ) দেয়া হবে বলে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পাটকল শ্রমিকরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) আন্দোলরত পাটকল শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাটকলের শ্রমিকদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী পে স্লিপ দেয়া হবে। তাদের সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগদানের জন্য বলেছি। তারা আমাদের কাছে চিঠি চেয়েছে। আমরা চিঠি দিয়েছি, তারা অনশন প্রত্যাহার করেছেন।’
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন।
পরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ, নন-সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ জানান, আলোচনা অনুযায়ী অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে, ১৬ তারিখের মধ্যে পে-স্লিপ বুঝিয়ে দিতে হবে। এ সময়ের মধ্যে না পেলে পরবর্তীতে কিছু ঘটলে এর দায় তারা নেবেন না।
বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শ্রমিকরা।
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের আশ্বাসে ১৪ ডিসেম্বর অনশন স্থগিত করে কাজে যোগ দেন শ্রমিকরা। দাবি পূরণে তারা ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। কিন্তু দাবি পূরণ না হওয়ায় খুলনা, রাজশাহী ও নরসিংদীর পাটকল শ্রমিকরা ফের আন্দোলনে নামেন।