নিউজ ডেস্ক : গত ২৩ মে ২০২০ বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা রানীনগর এলাকার দারুল কুরআন মাদরাসার দরিদ্র ছাত্রদের নিকট খাবার পৌঁছে দিলেন ঢাকাস্থ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সন্তান মো: মোস্তাফিজুর রহমান। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ধারাবাহিকতায় বন্ধ হয়ে যায় জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা রানীনগর দারুল কুরআন মাদরাসাটিও। ফলে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিগত অনুদান থেকেই চলা মাদরাসার কিছু সংখ্যক দরিদ্র ছাত্ররা পড়ে বিপাকে, কেননা তারা মাদরাসার খরচেই মাদরাসায় থেকে পড়াশোনা করে আসছিল। কিন্তু মাদরাসা বন্ধ হওয়ার ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন ও বাইরের অনুদান তেমন না আসায় তারা নিজ বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়। ফলে সংসারের খরচ বহনে হিমশিম খাওয়া পিতা-মাতাও পড়ে চরম বিপাকে। এমতাবস্থায় মাদরাসার প্রধান শিক্ষক দরিদ্র ছাত্রদের দুরবস্থার কথা সাংবাদিকদের জানালে সরেজমিন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে “ঈদের কথা যেন ভুলেই গেছে দারুল কুরআন মাদরাসায় থাকা দরিদ্র ছাত্ররা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদ পড়ে আজ ২৫ মে ২০২০ সেই দরিদ্র ছাত্রদের নিকট খাবার ও আর্থিক সহযোগীতা পৌঁছে দিলেন তিনি।
এবিষয়ে মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদ মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত খুশির একটি উৎসব। কিন্তু সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে অসংখ্য মানুষ বিশেষ করে খেটে খাওয়া ও দিনমজুর মানুষের জীবন যেন নিরস হয়ে পড়েছে। আর সেই করোনার প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট অভাব যেন অসংখ্য ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীদেরও ভুলিয়ে রেখেছে ঈদের কথা। আমি গত ২৩ মে ২০২০ বিভিন্ন অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে অত্র মাদরাসাটির কিছু সংখ্যক ছাত্রের দারিদ্রতার কথা জানতে পেরে সামান্য উপহার নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছি, যাতে অন্যান্যদের মতো তারাও কিছুটা হলেও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে।