মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

যারা বেকার সমস্যার সমাধানে কাজ করছে তাদের নেই আর্থিক সহযোগীতা বা প্রণোদনা -এমএ মান্নান

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৬ অপরাহ্ন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কারিগরিশিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত দেশে প্রায় সাড়ে ৩হাজার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র যেখানে কম্পিউটার ও কারিগরি বিভিন্ন কোর্সের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৩/৬ মাস মেয়াদী কম্পিউটার কোর্স ভিত্তিক বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে বেকারত্বের হাত থেকে বাচঁতে শিখছে অনেক যুবক-যুবতীরা।

যারা নিজ নিজ অর্থায়নে সরকারের কোন সহযোগিতাছাড়াই বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর ও বেকার যুবসমাজকে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কম্পিউার ও কারিগরি কোর্স ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠান গুলো প্রায় বছরে আড়াই লক্ষ বেকার যুবক-যুবতী ও ছাত্র/ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দিয়েদক্ষ করে তুলছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রশিক্ষণ নিয়েদক্ষ হয়ে বিদেশে যাচ্ছে আবার কেউ কেউ দেশেইক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হয়ে উঠছে এবং দেশের বেকার যুবকরা নিজেদের বেকারত্বের হাত থেকে রক্ষা করছে।

এই মহামারী কোভিড–১৯ করোনাভাইরাসে দূঃসময়ে ঐসমস্ত উদ্যোক্তাদের নেই কোন আর্থিক সহযোগিতা বা কোনসরকার ঘোষিত প্রনোদনা।

এমনি একজন উদ্যোক্তা যিনি মান্নান কম্পিউটার ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, শিবগঞ্জ চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর পরিচালক এম. এ. মান্নান তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত ৩টি শাখায় মোট ১৩টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করি। বাংলাদেশসরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক গত ১৭ মার্চ হতে আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে ১০/১২ জন স্টাফ রয়েছে তাদের বেতন ও প্রতিষ্ঠানের ভাড়াসহ অন্যান্যসব খরচ মিলিয়ে মাসে প্রায় ১ লক্ষ্য ২০ হাজার টাকার মতো হয়। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের বেতন ও ভাড়া যোগান দিতে আমাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আমি ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্টাফসহ প্রায় অনেকগুলোপরিবারই খুব দূর অবস্থায় জীবনযাপন করছি। আর যাই কিছুআয় হয়েছিলে বোর্ডের নির্দেশ মোতাবেক ছাত্র/ছাত্রীদেররেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ সব টাকা বোর্ডে জমা দিয়ে দিয়েছি।এখন সরকারের কাছে একটাই দাবী আমার মত প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০-৪৫ টির বেশি রয়েছে এবং সমগ্র বাংলাদেশে সাড়ে ৩ হাজার প্রতিষ্ঠানের বেশি উদ্যোক্তা আছে।

তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদনআমাদের এই খাতে সরকারের কিছু সহযোগিতার হাতবাড়িয়ে দেন তা হলে আমার মত এমন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট জড়িত এমন প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার পরিবারপথে বসে যাবে। তা না হলে ভবিষ্যতে আমাদের মত এমন তরুন উদ্যোক্তারাও এভাবে এগিয়ে আসবেনা এমনটিই বলেন এই তরুন উদ্যোক্তা।

তাই দেশের স্বার্থে যারা নিজস্ব উদ্যোগে ছোট ছোট উদ্যোক্তা হয়ে দেশের বেকার জনগোষ্ঠিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলে দেশ বিদেশে জনশক্তি রপ্তানীর সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে তাদেরকে তাদের এ দুঃসময়ে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা ।

লেখক : এমএ মান্নান


আরও সংবাদ
Theme Created By ThemesDealer.Com