বাংলাদেশকে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়ে পুনরায় আশা ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার মালয়েশিয়ার পিপলস জাস্টিস পার্টির সহ-সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের কন্যা নুরুল ইজ্জাহ আনোয়ার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা আসিয়ানের অংশ হতে চাই। এর জন্য আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন।’
বাংলাদেশ ২০২০ সালে আসিয়ানের সেক্টরিয়াল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার জন্য আবেদন করে।
প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে যাতে করে বাংলাদেশ সেক্টরিয়াল ডায়ালগ পার্টনার হতে পারে এবং পরবর্তীতে এই আঞ্চলিক সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ অর্জন করতে পারে।
সাক্ষাতের শুরুতে, নুরুল ইজ্জাহ সম্প্রতি ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে সংঘটিত যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জবাবে বলেন, ‘এটি আমাদের দেশের জন্য একটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা অনেক মানুষকে হারিয়েছি।’
তিনি নুরুল ইজ্জাহকে তার নতুন দায়িত্ব পালনের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, ‘আপনার রাজনৈতিক দলে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে অভিনন্দন।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ও অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার কার্যক্রম তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ছাত্ররা বুক পেতে গুলি খেয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে উৎখাত করেছে। এটি এক তরুণ নেতৃত্বাধীন আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব শ্রেণির মানুষ এতে যোগ দেয়। ছাত্ররা রাস্তাঘাট ও দেয়াল রাঙিয়ে তুলেছে জুলাই বিপ্লবের চেতনায়।’
প্রধান উপদেষ্টা মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এশিয়া দ্রুত বার্ধক্যের দিকে যাচ্ছে, কিন্তু বাংলাদেশে প্রচুর তরুণ রয়েছে। আমাদের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর বয়স ২৭ বছরের নিচে। আপনারা এখানে শিল্প স্থাপন করুন এবং বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি করুন। এটি আমাদের দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই লাভজনক হবে।’
সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।