চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা ৪৭৫টি পণ্যবাহী কনটেইনার নিলামে তোলার কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনায় বন্দরের পণ্যজট কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বন্দরে প্রায় ১০ হাজার কনটেইনার দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, যা বন্দরের জায়গা সংকটের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আমদানি করা এসব পণ্য খালাস না হওয়ায় পরিত্যক্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্রুত নিলাম, বিলিবন্দেজ ও ধ্বংস কার্যক্রম শীর্ষক বিশেষ আদেশ অনুযায়ী, এসব কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, আগ্রহী নিলাম ক্রেতারা ১৫ জুলাই সকাল ৯টা থেকে ৩০ জুলাই বেলা ২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কাস্টমস, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওয়েবসাইটে ই-অকশন মডিউলে রেজিস্ট্রেশন করে নিলামে অংশ নিতে পারবেন। নিলামে অংশ নিতে ব্যক্তি শ্রেণির দরদাতার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, টিআইএন সনদ, হালনাগাদ আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রত্যয়নপত্র থাকতে হবে। অনলাইন নিলামে বিড করার সময় কোটেশন মূল্যের ১০ শতাংশ জামানত হিসেবে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে ‘কমিশনার, কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম’ অনুকূলে ইস্যুকৃত পে-অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফট বা ডিডির স্ক্যান কপি দাখিল করতে হবে।
মূল কপি ও দলিলাদি ৩০ জুলাই বেলা ২টায় সিলগালাযুক্ত খামে কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার রাখা বাক্সে জমা দিতে হবে। নয়তো অনলাইনে দাখিল করা দর বাতিল হবে। সর্বোচ্চ দরের ওপর সরকারি অগ্রিম আয়কর ও ভ্যাট যুক্ত হবে। ১৬-২২ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পণ্য পরিদর্শন করা যাবে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার মো. তফছির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বন্দরের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং আমদানি-রপ্তানির গতি ফেরাতে এই নিলাম কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ধাপে ৪৭৫টি কনটেইনার নিলামে তোলা হচ্ছে। এনবিআরের সম্মতিও পাওয়া গেছে। পরবর্তীতে আরও কনটেইনার নিলামে তোলা হবে।