শিবগঞ্জে আলহেরা মাদরাসায় হাফিজা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

হাবিবুল বারি হাবিব, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার সাহাপাড়া আলহেরা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার আয়োজনে হাফিজা সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার ২১ জুন সকালে মাদরাসা প্রাঙ্গনে পরিচালক আলহাজ্ব মাওলানা আবুল কালামের সার্বিক ব্যবস্থাপনা, ইয়াতিম খানার সভাপতি মাওলানা আশরাফুল আলম সিফাত এর পরিচালনা ও মাদরাসা সভাপতি মাওলানা মো: আজিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আজাহার আলী । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মো: আবু বকর, শিবগঞ্জ ইউআরসির ইন্সট্রাকটর মো: কামরুজ্জামান সরকার, জাবালুন নূর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়ার পরিচালক হাফেজ ক্বরী মাওলানা গোলাম রাব্বানী, নববী হজ্ব ও ওমরা সার্ভিসের পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং মনাকষা ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা মো: আনোয়ারুল ইসলাম । অনুষ্ঠানের শুরুতেই মাদরাসা পরিচিতি তুলে ধরেন সহকারি শিক্ষক ডা: আবু সায়েম আল হেলাল । অনুষ্ঠানে অত্র মাদরাসা থেকে সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করায় মোসা: লিজা খাতুনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় । এর কিছুদিন পরেই পবিত্র কুরআন হিফজ সম্পন্ন করায় মোসা: সুমাইয়া আকতার শান্তিকেও পুরস্কৃত করা হয় অনুষ্ঠানে । এসময় এই দুইজন হাফিজা ও তাদের মা-বাবার হাতে বিভিন্ন পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ । এছাড়াও স্বল্প সময়ে ও সর্বপ্রথম পবিত্র কুরআন হিফজ সম্পন্ন করায় মোসা: লিজা খাতুনকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পবিত্র ওমরা পালনের সুযোগ করে দেন বিশেষ অতিথি ও নববী হজ্ব ও ওমরা সার্ভিসের পরিচালক আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ । উল্লেখ্য, গত ২০২২ সালে “হেরার আলোয় উদ্ভাসিত বিজ্ঞ আলেম তৈরি আমাদের নিরন্তর সাধনা” এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা সাহাপাড়া আলহেরা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা । এরপর পর্যায়ক্রমে মাদরাসার পড়াশোনা, আবাসিক ও খাবার ব্যবস্থাপনা, সিসিটিভি ক্যামেরা সহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ছাত্রীদের একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি ব্যবহারিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষার সুব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয়ে সফলতা অর্জনের ফলে এলাকায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মাদরাসাটি । যার ধারাবাহিকতায় মাত্র দেড় বছরে দুইজন হাফিজা তৈরি হওয়াকে এক অন্যতম একটি অর্জন বলে মনে করছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা ।