আজ মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» গত ১৬ বছর বিজয় দিবস একটি দলের কারাগারে অবরুদ্ধ ছিল -বেলাল-ই-বাকী ইদ্রিশী «» শিবগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ও বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলী «» শিবগঞ্জে ফিউচার ক্যাডেট একাডেমীর মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ «» কানসাটে চেম্বার অফ কমার্সের নির্বাচন উপলক্ষে আব্দুল ওয়াহেদ প্যানেলের পরিচিতি সভা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনে হারুন-আনোয়ার-তরিকুল প্যানেলের পরিচিতি সভা «» চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচনে আব্দুল ওয়াহেদ প্যানেলের পরিচিতি সভা «» মসজিদের উন্নয়নে সকলের এগিয়ে আসা উচিত -বেলাল-ই-বাকি ইদ্রিশী «» শিবগঞ্জে ফুলকুঁড়ি আসরের আয়োজনে শিশু সমাবেশ ও পুরস্কার বিতরণ «» থামছেইনা সাবেক সেনা সদস্য রফিকুলের যৌন অপরাধ, রেহাই পেলনা ৩য় শ্রেণীর ছাত্রীও «» শিবগঞ্জে ভিক্ষুক পুনর্বাসন, ঋণ ও ট্রাই সাইকেল বিতরণ

থাকার জায়গা নাই, খাবার নাই, ঔষধ খাব কি দিয়ে !

হাবিবুল বারি হাবিব : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড চক এলাকার মৃত আরশাদ আলীর ছেলে সুখচাঁন আলী (৩০)। চরম শ্বাসকষ্টে ভুগলেও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা নিয়ে আর ঔষধ কিনতে পারছেনা সে। ১৫ বছর বয়সে বাবা ও বড় ভাই কে হারিয়ে অসহায় জীবন যাপন করতে থাকে সে। এরই মধ্যে এক মেয়েকে বিবাহ করে পৈতৃক এক টুকরো ভিটে মাটিতে কুঁড়ে তুলে বসবাস করতে থাকে সুখচাঁন। কিন্তু নিয়তি তাকে থামিয়ে দিল মাঝপথে। ৪ বছর পূর্বে তার সন্তানের বয়স যখন সাড়ে ৪ বছর, তখন চোখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় বাচ্চাটি। ভিটেমাটিতে ছোট্ট কুঁড়ে ঘরটি ছাড়া তার আর কিছু না থাকায় এলাকার প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির সামান্য আর্থিক সহযোগীতা ও আশে পাশে থেকে ভিক্ষা করে জোগাড় করা সামান্য অর্থ দিয়ে সন্তানের চিকিৎসা করাতে না পেরে ভিটেমাটি টুকুও বিক্রি করতে হয় তাকে। কিন্তু জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করেও সন্তানকে বাঁচাতে পারেনি সুখচাঁন। প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ করার পরেও মারা যায় তার সাড়ে ৪ বছরের সন্তানটি। তারপর থেকে নি:স্ব হয়ে পাশের এক ব্যক্তির আম বাগানের এক কোণে কোন রকমে বসবাস করতে থাকে তারা। বর্তমানে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে সুখচাঁন। গত প্রায় ৫ বছর থেকে শ্বাস কষ্টে ভুগলেও অর্থের অভাবে তেমন চিকিৎসা নিতে পারেনি, কেননা স্ত্রী ও সন্তানদের খাবার জোগাড় করাটাই তার পক্ষে অসম্ভব। এদিকে অন্যের বাগানে বসবাস করায় বাগানের মালিক ও প্রায়ই বলছেন অন্য কোথাও চলে যেতে। বর্তমানে তীব্র শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত সুখচাঁন গত ১ মাসে ৩ বার অন্যের সহযোগীতায় রাজশাহী মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা নিলেও অর্থ না থাকায় ঔষধ ছাড়াই কোনরকমে বেঁচে আছে । চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাকে প্রতিদিন ৬৩ টাকার ঔষধ খেতে হবে, যা সুখচাঁন আলীর পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সুখচাঁন আলী পৃথিবী সংবাদকে জানান, থাকার জায়গা নাই, খাবার নাই, ঔষধ খাব কি দিয়ে ! গত কয়েক বছর আগে সন্তানের ক্যান্সারের কারনে ভিটেমাটি টুকুও বিক্রি করে দিয়েও সন্তানকে বাঁচাতে পারিনি, ঘরবাড়ি, জায়গাজমি কিছুই নাই, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারনে তেমন পরিশ্রমও করতে পারিনা। বিভিন্ন সময়ে এলাকার কমিশনার ও মেয়রের কাছে গেলে তাঁরা অনেক আশ্বাস দিলেও এখনো কোন সরকারি সুবিধা পাইনি। আমি অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে স্ত্রী ও ২ সন্তান নিয়ে চরম অসহায় জীবন যাপন করছি, ঔষধ কিনতে পারছিনা। আমি সকলের সহযোগীতা ও দোয়া চাই।

এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার মো: জুম্মন আলী পৃথিবী সংবাদকে বলেন, ছেলেটি আসলেই খুব অসহায়, ছোটকালেই বাবাকে হারিয়েছে, এরপর প্রথম সন্তানের চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি টুকু হারিয়েও বাঁচাতে পারেনি। আমি বিভিন্ন সময়ে স্বাধ্যমতো তার সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছি। বর্তমানে তার জন্য সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :