সারা বাংলাদেশ প্রবীণ, মৃত সিনিয়র সাংবাদিকদের জন্য টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। দেশে মৃত ও জীবীত সাংবাদিক পরিবারের হাতে এসব টাকা প্রদান করা হয়েছে। অথচ ভাবতে ঘেন্না আর কষ্ট হয় যে, এখানকার সাংবাদিক নেতাদের চোখে তাদের থেকে বড় সাংবাদিক জেলায় নেই। তারাই সবকিছু। এ সব সাংবাদিক নেতারা আবার বিরাট বিরাট শিল্পপতির পকেট এডভাইজার। কেউকেউ তো প্রকাশ্যেই তাদের নিয়ে নামিদাবি গাড়িতে চড়ে একসাথে প্রোগ্রামে থাকে।
জেলায় সাংবাদিক মরহুম নাজাত কাকু, মরহুম সুইট ভাই, মরহুম বুলবুল কাকু, টুকু চাচা, মিজান চাচা, বাদল চাচা, সালাউদ্দিন ভাই, মরহুম স্বপন ভাই, জীবীত তালেবুন নবী, তসলিম কাকু, জবদুল কাকু, নাসিম কাকা, মাসুম ভাই, রঞ্জু চাচা, রফিক, ভাই, কামাল ভাই, জোনাব আলী চাচা, মন্টু কাকু, সাজু চাচা, শিশির ভাই, ভোলাহাটে কবির চাচা, শিবগঞ্জে কামাল চাচা, শফিকুল চাচা, সাজিদ ভাইসহ প্রবীণ সাংবাদিক থাকলেও তাদের ভাগ্যে আটানা পয়সাও আসেনি। কেন??
কোন সাংবাদিক নেতাকে লিস্ট করা হলো যে একজনও পেল না সাংবাদিক চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ধিক্কার তাদের প্রতি যারা সিনিয়রদের বাদ দিয়ে নিজেদের সাংবাদিক নেতা ভাবেন। বড়দের সম্মান না করলে কেউ কোনদিন বড় হতে পারে না।
জেলায় সিনিয়র সাংবাদিক আছে এটা তারা মনে হয় মানে না। যদি মানত তাহলে ঠিকই লিস্ট যেত কিন্তু যায়নি। সাংবাদিক নেতারা তো একাই একশ। ওরা আবার প্রবীণ বা যাদের কাছে শিখে আজ যারা বড়বড় নেতা সাংবাদিক তারাই সব। আর তারাই আবার বিশাল বিশাল সিন্ডিকেট বিভাগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আমি কপোত নবী ৮০’র দশক থেকে এখন পর্যন্ত চারিপাশে সাংবাদিক বৃত্ত বা তার ভেতরেই বড় হয়েছি। খুব কাছ থেকে দেখে আসছি সাংবাদিকতা। শিখেছি জেনেছি একটুএকটু করে। অতএব প্রবীণ ও সিনিয়রদের যারা মূল্যায়ন করে না সে সব সাংবাদিক নেতাকে ঘৃণা ভরে বয়কট করলাম কেয়ামত পর্যন্ত।
আপনারা আর যায় হন গণমাধ্যম নেতা হবার যোগ্যতা তো দূরের কথা সাংবাদিক বলতে আমার বাঁধে। তাই বলে যে অসম্মান বা তাদের সাথে বেয়াদবি করি মোটেও না। কারণ সে শিক্ষা আমার সাংবাদিক মহল দেয়নি।
পরিশেষে অনুরোধ সিনিয়রদের পিঠে ছুরি মেরে কেউ বড় হতে পারেনি আপনারাও পারবেন না। অনেকে বলবেন ঐ সব সাংবাদিকের নাম বলেন। আমি বলি শহরে তদন্ত করেন নাম বলতে হবে না জেনে যাবেন। এ জাতটির সদস্য আমিও। তাই কষ্ট লাগে আমারও।
মনে রাখবেন পৃথিবীর কোথাও রেকর্ড নেই, অহংকার করে, ভাব দেখিয়ে, বড়বড় হর্তাকর্তা ও প্রশাসনের সঙ্গে উঠাবসা করে কেউই টিকে থাকতে পারেনি। এক জাতি, এক সংগঠন ও শক্তিশালী করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেসক্লাব নামে একটাই প্রেসক্লাব করা হোক। যেখানে সদর, শিবগঞ্জ, নাচোল, গোমস্তাপুর, রহনপুর, ভোলাহাট মোটকথা ৩টি আসনের এক প্রেসক্লাব। আর তাই আমিও সদ্য সোনামসজিদ স্থল বন্দর প্রেসক্লাব ও পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছি।
এতে যেমন থাকবে না কোন গ্রুপিং লবিং, থাকবে না কোন অযোগ্য সভাপতি সেক্রেটারি। মেরুদন্ড মজবুত হবে অধীক। জানি এটা স্বপ্নেও হবার নয়। তবু নিজ প্রস্তাব দিতে কোন বাঁধা নেই। আল্লাহ আপনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিকদের উপর রহমত বর্ষিত করুন ।
সাংবাদিক ডি এম কপোত নবী