আজ শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
«» শিবগঞ্জে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজের উদ্বোধন করলেন ইউএনও «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» দুর্লভপুর ইউনিয়নের টিসিবির স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ «» শিবগঞ্জে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত «» শান্তি নিবিড় পাঠাগার পরিদর্শন করলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস «» জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি সম্মেলন উপলক্ষে শিবগঞ্জে কেন্দ্রীয় দাওয়াতি মিশন অনুষ্ঠিত «» শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠান «» চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রতিদিনের চাঁপাই’ অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধন «» শিবগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সাদিকুল ইসলামের ১০ হাজার কম্বল বিতরণ «» শিবগঞ্জে ৪ হাজার কম্বল বিতরণ

শিবগঞ্জে চলছে কথিত কাজীর দৌরাত্ন্য, প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নিজেকে কাজী দাবী করে অসংখ্য বিয়ে নিবন্ধন করে জাল নিবন্ধন সনদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি এলাকার বিভিন্ন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় প্রশাসন ম্যানেজ করার নামে হাজার হাজার টাকা আদায়েরও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । অভিযোগটি উঠেছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর এলাকার জাহির উদ্দিনের উপর । এছাড়াও জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালকরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর কথিত কাজী জাহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে দাইপুকুরিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে অভিযোগ দায়ের করেছেন মো: লতিফুর রহমান । এলাকার বাসিন্দা মো: আজাহার আলী বলেন, গাজীপুর এলাকার জাহির উদ্দিন আমার মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় ইউএনও ও প্রশাসনকে ম্যানেজ ও বিয়ে নিবন্ধন করার নামে ৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় । এরপর বিয়ের একটি নিবন্ধন পত্র দেয়। কিন্তু কিছুদিন পর বিভিন্ন কারনে আমার মেয়ের তালাকের সময় জাহির উদ্দিনের দেয়া নিবন্ধন পত্রটি জাল বলে প্রমাণিত হয়। একই এলাকার বাসিন্দা বশির আহমেদ জানান, জাহির উদ্দিন এলাকার কথিত কাজী, সে অত্র এলাকার সকল বাল্য বিয়ের দায়িত্ব নিয়ে অর্থের বিনিময়ে তা সম্পন্ন করে থাকে এবং বাল্য বিয়ে নিবন্ধনের নামে ভূয়া কাগজ দিয়ে অসহায় লোকদের নিকট থেকে অনেক অর্থ হাতিয়ে নেয়। এছাড়াও দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহজাহান আলী সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো অনেকেই জানান, জাহির উদ্দীন নিজেকে কখনো কাজী, কখনো মানবাধিকার কর্মী ও কখনো দুদকের কর্মী দাবী করে এলাকার অসহায় ব্যক্তিদের ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেয়ার সময় অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়ে জাল সনদ দেয় । অত্র এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ মূলত বিয়ে সাদীর বিষয়ে সে এক প্রকার জিম্মি করে রেখেছে। সে এলাকার মানুষকে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বাল্য বিয়েতে উৎসাহ প্রদান করে থাকে বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা । তবে এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহির উদ্দীন বলেন, আমি কোন কাজী নই, আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ দিলে সেগুলো মিথ্যা অভিযোগ ।

এবিষয়ে দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নে বিয়ে নিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা কাজী মো: মিজানুর রহমান বলেন, আমার দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নে অন্য কোন কাজী বা সহকারি নেই । আমি নিজেই সকল বিয়ে নিবন্ধনের কাজ করে থাকি । জাহির উদ্দীন মাঝে মধ্যে আমার কাছে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে এসেছে এবং আমি তা নিবন্ধন করে দিয়েছি । এর বাইরে সে যদি আমার নামে বা আমার সীল ব্যবহার করে এমন কোন কাজ করে থাকে তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব । তবে অন্য কেউ কাগজপত্র নিয়ে আসলে বর-কনেকে না দেখে বা উপস্থিত না হয়েই বিয়ে নিবন্ধন করে দেয়া অনিয়ম কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাজী মো: মিজানুর রহমান নিজের দোষ স্বীকার করেন ।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাকিব আল রাব্বি জানান, বিয়ে নিবন্ধনের বিষয়ে এমন অনিয়ম ও ভূয়া কাগজপত্রের প্রমান পেলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব ।

আপনার মতামত দিন :
সংবাদটি শেয়ার করুন :