ডেস্ক রিপোর্ট : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশীর লোকজন দ্বারা বিভিন্ন অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে । দীর্ঘদিনের এই নির্যাতন ও অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার ও প্রশাসনের নিকট আহাজারি ব্যক্ত করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি । ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শিবগঞ্জ পৌর এলাকার শেখটোলা গ্রামে । এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ ও আদালতে মামলাও করেছে ভুক্তভোগী মো: মোস্তাক আলী । মোস্তাক আলী ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, জমিজমা সংক্রান্ত অহেতুক জেরে আমার প্রতিবেশী মো: নবু হাজী ও তার পরিবারের অন্যান্য লোকজন ক্ষমতার দাপটে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার পরিবারের উপর বিভিন্ন অত্যাচার ও নির্যাতন করে আসছে । প্রত্যেকবারই আমি এসব নির্যাতন ও অত্যাচারের বিচার চেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এমনকি আইনের আশ্রয় নিলেও ক্ষমতার দাপটে তারা কোন আইন কাননের তোয়াক্কা করছেনা । সম্প্রতি গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২১ রবিবার সকাল ৮ টার দিকে নবু হাজী ও তার সন্তান সন্ততিরা একত্র হয়ে অন্যায় ভাবে আমার জমিতে থাকা আম, কলা, মেহগনি ও পেঁপে সহ প্রায় ৩০-৪০ টি গাছ কেটে ফেলে । আমরা দরিদ্র মানুষ বাড়ির পাশে শিম সহ সামান্য কিছু সবজি চাষ করে তরকারির জোগাড় করতাম, তারা সেগুলো সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে । জোর করে গাছ কেটে ফেলতে বাধা দিতে গেলে নবু হাজী নিজে আমার স্ত্রী তাজেনুর বেগমকে লোহার লাঠি দিয়ে পেটে আঘাত করলে বর্তমানে আমার স্ত্রী গুরুতর অবস্থায় মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এর আগেও বেশ কয়েকবার তারা আমি সহ আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্নভাবে আঘাত করে আহত করেছে । বর্তমানে আমি নিঃস্ব ও অসহায় । এমতাবস্থায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে দীর্ঘদিনের এই অত্যাচার থেকে আমি ও আমার পরিবার মুক্তি পাই ।
এদিকে গাছ কেটে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে নবু হাজীর ছেলে সুজন আলী গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, যে জমির গাছ কাটা হয়েছে সেটি আমাদের জমি, আমি আমাদের নিজস্ব জমির গাছ কেটে ফেলেছি । তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই জমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছে । জমি যারই হোক, এতগুলো গাছ একসাথে কেটে ফেলা অন্যায় ।