নিউজ ডেস্ক : বন্যা ও বর্ষার প্রভাবে সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। কাঁচাবাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এই পুরো সময়ে সর্বোচ্চ দাম কাঁচামরিচের। ভালোমানের এক কেজি কাঁচামরিচ কিনতে এখন গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা। তবে সাধারণ মানের আমদানি করা কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য সবজি বেশিরভাগ ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
বিক্রেতারা বলছেন, মরিচের দামে বেশ ঝাল। অবশ্য এর কারণেও আছে। বন্যায় দেশের অনেক এলাকার ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। যেসব এলাকার পানি নেমেছে। সেখানেও অতিবৃষ্টির কারণে আবাদ শুরু হয়নি। তা ছাড়া আগে থেকেই করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সবজির আবাদ কম হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে সবজির বাজার বেসামাল হয়ে পড়েছে।
গতকাল রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ কাঁচাবাজার ঘুরে চড়া দামে সবজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে আড়াইশ গ্রাম কাঁচামরিচ মানভেদে বিক্রি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এ হিসেবে কেজি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা পড়ছে। কাঁচামরিচের কেজি ছিল জুন মাসে ৬০, জুলাই মাসের শুরতে ১০০ এবং শেষে ১৬০ টাকা। চলতি মাসের শুরুতে ২০০ টাকার মধ্যে থাকলেও এখন তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে ।
অন্য মধ্যে ঝিঙে ৪০, কাঁকরোল ৪০, বেগুন ৫০ও পটোল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও শসার কেজি ৬০ টাকা। প্রতিটি লাউ ও জালি ২৫ থেকে ৩৫ টাকা। গত মাসের শুরুত এসব সবজি অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে।
শিবগঞ্জ কাঁচাবাজার সবজি ব্যবাসায়ীরা বলেন, পাইকারি আড়তে অনেক সময় সবজি কিনতে কাড়াকাড়ি করতে হয়। তখন দামের কোনো ঠিক থাকে না। এ কারণে বাজার ভেড়ে দামের পার্থক্য এখন বেশি দেখা যাচ্ছে। দেশি কাঁচামরিচ এখন ২৫০ টাকা কেজিতে কিনে বিক্রি করছেন।
বাজার করতে আসা শিবগঞ্জ কলেজের প্রভাষক গোলাম মোস্তাফা মামুন বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত বলে জানি। আগে জানতাম নিম্ন আয়ের মানুষ যারা তাদের নাভিশ্বাস উঠতো কিন্তু বর্তমান বাজারদর আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষ বলে মনে হচ্ছে। সবসময় দেখি বৃষ্টি হলেই কাঁচামরিচের দাম বেড়ে যায়। মহামারি করোনা ভাইরাসের মধ্যেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ১৫ টাক পোয় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ এক লাফে ৩০ টাকা হয়ে গেছে। কতদিন এই অবস্থা থাকবে তার ঠিক নেই। দাম যতই হোক মেনে নিতে হবে।
বাজারে এখন আগের তিনভাগের একভাগ সবজি বেশি আসছে। বাজারে গ্রামাঞ্চল থেকে সবজি বেশি আসে। এরপর এক মাস ধরে আশপাশের সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এতে বাজারে সরবরাহ আরও কমেছে। তাছাড়া গ্রীষ্মকালীন এই সময়ে সবজির আবাদ কম থাকে। একারণে অন্য এলাকার সবজিও তেমন আসছে না । পাইকারি আড়তে এখন মুহূর্তে সবজির দাম ওঠানামা করছে। এতে বাজারে কোন সবজির কত দাম, তা সঠিকভাবে বলা কঠিন ।